Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সিটিজেন চার্টার

ক্রঃ নং

সেবার নাম

সেবা প্রদানের পদ্ধতি

সেবা প্রদানের সময়সীমা

নির্দিষ্ট সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রতিকারের বিধান

১।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত:

১। দুর্যোগ পূর্ববর্তী সতর্কতা এবং সম্ভাব্য দুর্যোগ পুর্ণ এলাকার জনসাধারণকে নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্র যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা ও উদ্বুদ্ধ করণ।

২। দুর্যোগ কালীন সময়ে দুর্গতদের উর্দ্ধার, ত্রাণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ, চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করণ ও স্থানীয় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ।

৩। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও দু:স্থদের পুনর্বাসন।

দুর্যোগকালীন সময়ে

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে

গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি:

গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয়বৃদ্র্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র বিমোচন এবং সে সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। উপজেলা কমিটি প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী পরিপত্র মোতাবেক ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হয়। সে সাথে মাননীয় সংসদ সদস্যদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রাপ্ত খাদ্যশস্য/টাকা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায়;

ক) গ্রাঅস (কাবিখা):- এই কর্মসূচিতে পুকুর/খাল খনন/পুন:খনন, রাস্তা নির্মাণ/পুন:নির্মাণ, রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ/পুন:নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দুরীকরণের জন্য নালা ও সেচনালা খনন/পুন:খনন, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মাঠে মাটি ভরাট, মাটির কিল্লা  নির্মাণ/পুন:নির্মাণ ইত্যাদি কাজের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়ে থাকে। 

খ) গ্রাঅর (টিআর):-  এই কর্মসূচিতে বিগত বছরে বাস্তবায়িত কাবিখা প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ। বাঁধ ও রাস্তা, নালা, নর্দমা খনন/সংস্কার, ধর্মীয়/শিক্ষা/ জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান সংস্কার/মেরামত, স্যানিটারী ল্যাট্রিন, বাঁশের সাঁকো নির্মাণ, বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য এলাকা ভিত্তিক গভীর নলকুপ স্থাপন। এ সকল কর্মসূচির প্রকল্পসমূহ প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে।

বিভিন্ন সময়ে জারীকৃত পরিপত্রের নির্দেশ অনুযায়ী।

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে।

অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি:

বাংলাদেশে নদী ভাঙ্গন, চরাঞ্চল, মঙ্গাপীড়িত এলাকার অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠির সংখ্যা অধিক। তারা বছরের অধিকাংশ সময়ে বেকার থাকে এবং তাদের উপার্জনের সুযোগ থাকে না। তারা  অক্টোবর হতে ডিসেম্বর এবং মার্চ হতে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫ মাস সময়ে বেকার/কর্মহীন থাকে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, সে সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।

এ কর্মসূচি ২ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। ১ম পর্যায় অক্টোবর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪০ দিন এবং ২য় পর্যায় মার্চ হতে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪০ দিন অর্থাৎ বছরে ৮০ দিন কাজ হয়। উপজেলা কমিটি ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে শ্রমিক ও প্রকল্প নির্বাচন করে থাকে। এ কর্মসূচির আওতায় গৃহীত প্রকল্প সমূহ প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে।  প্রতিটি শ্রমিক দৈনিক ৭ (সাত) ঘন্টা কাজের বিনিময়ে ১৭৫ টাকা মজুরী পেয়ে থাকেন। প্রতিটি শ্রমিকের সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে  তাদের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে। শ্রমিকগণ সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করে প্রতি বৃহষ্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে মজুরী গ্রহণ করে। এ কর্মসূচির আওতায়, খাল খনন/পুন:খনন, বাঁধ নির্মাণ/পুণ:নির্মান, রাস্তা নির্মাণ/পুন:নির্মান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, নালা ও সেচনালা খনন/পুন:খনন, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের কবল থেকে গবাদিপশু রক্ষার্থে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশে মাটির কিল্লা নির্মাণ/পুন:নির্মাণ, মজা পুকুর/মৎস্য খামারের পুকুর খনন (সরকারী/সমবায় ভিত্তিক খামার), কম্পোষ্ট হিপ/জৈব সার তৈরী, হেলিপ্যাড, হাট-বাজার চত্তর উচু করণ, বৃষ্টির পানি/খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য রির্জার্ভার নির্মাণ। এছাড়াও নন-ওয়েজ কষ্টের মাধ্যমে গৃহীত প্রকল্পে বৃক্ষ রোপন,  স্যানিটারী ল্যাট্রিন, বাশেঁর সাঁকো, বক্স কালর্ভাট, রাস্তার ঢাল বা নির্মিত/সংস্কারকৃত বাধেঁর ঢাল ইত্যাদি নির্মাণের ক্ষেত্রে উপকরণ ক্রয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়, যার পৃথক বরাদ্দ পাওয়া যায়।

বিভিন্ন সময়ে জারীকৃত পরিপত্রের নির্দেশ অনুযায়ী।

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে।

ভিজিএফ কর্মসূচি:

বৃদ্ধ, বিধবা, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ও দু:স্থ পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারকে  ১০-১৫ কেজি খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। উপজেলা কমিটি ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন ও তালিকাভুক্ত করণ এবং ইউনিয়ন কমিটি উপকারভোগীদের মাঝে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য বিতরণ করেন।

বিভিন্ন সময়ে জারীকৃত পরিপত্রের নিদেশ অনুযায়ী।

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে

খয়রাতি সাহায্য প্রদান

অগ্নিকান্ড, নদী ভাঙ্গন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দু:স্থ পরিবারের মধ্যে জিআর টাকা, জিআর চাল, গৃহ নিমার্ণ মঞ্জুরী এবং ঢেউটিন প্রদান হয়। সে সাথে এতিমখানা নিবাসীদের, সার্বজনীন দূর্গাপূজা, বড়দিন ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আগতদের আহার্য বাবদ জিআর চাল ব্যয় করা যায়।

বিভিন্ন সময়ে জারীকৃত পরিপত্রের নির্দেশ অনুযায়ী।

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে

বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র

বন্যা/দুর্যোগকালীন সময়ে দুর্গোত জনসাধারণের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সেতু/কালভার্ট

উপজেলা কমিটি কর্তৃক প্রকল্প নির্বাচন ও হাইড্রোলিক ডাটাসমূহ সংগ্রহ পূর্বক ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক সেতু/কালভার্ট এর ডিজাইন, প্রাক্কলন ও মহাপরিচালক দরপত্র আহবান করেন। উপজেলা কমিটি উক্ত দরপত্র যাচাই-বাছাই অন্তে: ঠিকাদার নির্বাচন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকেন। 

মোহাজের সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা

সরকারী সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা মোতাবেক।

বিভিন্ন সময়ে জারীকৃত পরিপত্রের নির্দেশ অনুযায়ী

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে

গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য বাসস্থান নির্মাণের ঘোষনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে "গৃহহীনদের জন্য গৃহ দান" কর্মসূচির অগ্রাধিকার প্রদান, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস  এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার "আমার গ্রাম, আমার শহর" অনুযায়ী দুর্যাোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীণ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভূক্ত টিআর/কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থ দ্বারা গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

গৃহহীনদের জন্য নগদ টাকায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ নির্দেশিকা-২০১৯

সরকারী পরিপত্রের নির্দেশমতে